হাফেজ আরিফুল ইসলাম, স্ট্যাফ রিপোর্টারঃ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৫, কুড়িগ্রাম-১ (নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও কচাকাটা) আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আলহাজ্ব মুহাঃ হারিসুল বারি রনি। তিনি হাতপাখা মার্কায় জনগণের দোয়া ও ভোট প্রার্থনা করেছেন।

পীর সাহেব চরমোনাই মনোনীত এই প্রার্থী নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে বলেন —
আমাদের এই ইশতেহার শুধু উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি নয়এটি ইনসাফভিত্তিক একটি ন্যায্য সমাজ গড়ার রূপরেখা। ইসলামদেশ  মানবতার সেবাই হবে আমার রাজনীতির মূল লক্ষ্য।

পরিচিতি:
আলহাজ্ব হারিসুল বারি রনি নাগেশ্বরী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের এক সম্ভ্রান্ত ও শিক্ষিত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম আলহাজ্ব আজাদ আলী ছিলেন উত্তর ধরলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ (ডি. এম. একাডেমি হাইস্কুল)-এর একজন সফল প্রধান শিক্ষক। ছোটবেলা থেকেই আলহাজ্ব মুহাঃ হারিসুল বারি রনি  সৎ, নিরহংকার, পরিশ্রমী ও জনদরদী হিসেবে পরিচিত।

তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী, শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক ও দানবীর হিসেবে সর্বমহলে সমাদৃত। টানা ৭ বছর তিনি কুড়িগ্রাম জেলার শ্রেষ্ঠ করদাতা হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন।

শিক্ষাগত যোগ্যতা:

  • এসএসসি: নাগেশ্বরী ডি.এম একাডেমী (১৯৯৬)
  • এইচএসসি: ১৯৯৮ সাল
  • স্নাতক: নাগেশ্বরী সরকারি কলেজ (২০০০)

সামাজিক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা:

  • সভাপতি, আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
  • সভাপতি, পশ্চিম নাগেশ্বরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • সভাপতি, রংধনু ৯৬ ফাউন্ডেশন
  • সভাপতি, উত্তর বদিজমাপুর দারুস সুন্নাহ জামে মসজিদ
  • সহ-সভাপতি, হামিউস সুন্নাহ কেরামতিয়া ক্বওমী ও হাফিজিয়া মাদরাসা
  • সম্পাদক, সাতানীপাড়া দারুন নাজাত জামে মসজিদ-২ ও আল কেরামত হাফিজিয়া মাদরাসা
  • উপদেষ্টা, সোনাহাট স্থলবন্দর আমদানী-রপ্তানীকারক সমিতি ও বণিক সমিতি
  • সাবেক গভর্নিং বডির সদস্য, নাগেশ্বরী মহিলা মহাবিদ্যালয় ও উপজেলা প্রশাসন স্কুল এন্ড কলেজ।

২০ দফা উন্নয়ন ইশতেহার:
১। ইসলাম, দেশ ও মানবতার কল্যাণে সব ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন।
২।কচাকাটা থানাকে পূর্ণাঙ্গ উপজেলায় উন্নীত করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্থাপন।
৩। প্রশাসন ও পুলিশের সঠিক সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে একাধিক পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন ও ইউনিয়ন পর্যায়ে টহল।
৪। নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন এবং শতভাগ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ।
৫। দুর্গম এলাকায় বিশেষ স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র স্থাপন।
৬। সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ, মাদক ও চোরাচালান দমন এবং সীমান্তবাসীর নিরাপত্তা জোরদার।
৭। নদী ভাঙন রোধ ও নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে এনে সেতু ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন।
৮। কৃষিপণ্যের সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত শিল্প স্থাপন করে কৃষকের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণ।
৯। যুবকদের জন্য কারিগরি ও ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে আইটি সেন্টার স্থাপন।
১০। মানসম্মত সুশিক্ষা নিশ্চিতকরণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন ও বৃত্তির সুযোগ সৃষ্টি।
১১। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ।
১২। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্প্রীতি ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ।
১৩। নারীর অধিকার রক্ষা, উত্তরাধিকার নিশ্চিতে শরয়ী আইন বাস্তবায়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি।
১৪। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও ভাতা বিতরণে অনিয়ম বন্ধে কড়া নজরদারি।
১৫। সোনাহাট স্থলবন্দর আধুনিকায়ন, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি ও ইপিজেড স্থাপনের উদ্যোগ।
১৬। ভূটান-বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দ্রুত বাস্তবায়ন ও স্থানীয়দের কর্মসংস্থানে অগ্রাধিকার।
১৭। আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণ ও ভূরুঙ্গামারী-রংপুর মেইল বাস সার্ভিস চালু।
১৮। বিদেশগামী শ্রমিকদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ তহবিল থেকে ঋণ সহায়তা ও পরিবারের নিরাপত্তা।
১৯। সরকারি অফিসে জবাবদিহিতা নিশ্চিত ও সেবা গ্রহীতাদের হয়রানি বন্ধ।
২০। মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক তিনটি শ্লোগানের চেতনায় ইনসাফভিত্তিক সমাজ গঠন।

আলহাজ মুহাঃ হারিসুল বারি রনির আহ্বান:
“আমি আপনাদের সন্তান — আপনাদের দোয়া ও ভোটই হবে এই আসনের পরিবর্তনের চাবিকাঠি। ইনশাআল্লাহ, নির্বাচিত হলে ইসলাম, দেশ ও মানবতার কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করবো। আসন্ন নির্বাচনে হাতপাখা মার্কায় ভোট দিন, ইনসাফভিত্তিক সমাজ গঠনে অংশ নিন।”

By Admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *